প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি প্রাকৃতিকভাবে, নাকি কোনো গবেষণাগারে, তা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ রয়েছে। তাই ভাইরাসটির উৎপত্তি চিহ্নিত করার জন্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দ্বার উন্মুক্ত করতে চীনের ওপর বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চাপ বাড়ছিল। কিন্তু চীনের কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, তদন্তের জন্য তাঁরা আন্তর্জাতিক কোনো দলকে চীনে ঢুকতে দেবে না। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল বেইজিং। গত বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈশ্বিক এই করোনা মহামারির বিষয়টি তদন্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক প্যানেলকে তারা সমর্থন করে। প্যানেলকে সব ধরনের সহায়তা দেবে চীন। করোনা মহামারি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যাচার করছে বলেও দাবি বেইজিংয়ের।
চীনের উহানে গত ৩১ ডিসেম্বর অজ্ঞাত কারণে মানুষের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করে ডব্লিউএইচও। নতুন ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স করে চীনের বিজ্ঞানীরা গত ৯ জানুয়ারি জানান, এটি সার্স করোনাভাইরাস গোত্রের। এর দুই দিনের মাথায়, ১১ জানুয়ারি সংক্রমণে প্রথম মৃত্যু দেখে বিশ্ব। ডব্লিউএইচও পরে ভাইরাসটির নাম দেয় নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। গত ৩০ জানুয়ারি করোনার সংক্রমণকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। আর গত ১১ মার্চ একে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে সংস্থাটি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, এই মহামারিতে সারা বিশ্বে মারা গেছেন ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজারের মতো। সারা বিশ্বে রোগী শনাক্ত করা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ।