#FreeAssange - কারও কাছে তিনি অহিংস চে গুয়েভারা কারও কাছে তিনি বিপজ্জনক নৈরাজ্যবাদী। #বাংলাদেশ,

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ - কারও কাছে তিনি অহিংস চে গুয়েভারা কারও কাছে তিনি বিপজ্জনক নৈরাজ্যবাদী।

গত ১১ এপ্রিল ইকুয়েডর দূতাবাস হতে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যজুড়ে এ মুহূর্তে অ্যাসাঞ্জকে খ্যাপাটে এক বিশৃঙ্খল চরিত্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা জারি আছে। তাঁর কাজকর্মের পেছনে যে স্পষ্ট একটা রাজনৈতিক দর্শন কাজ করছে, সেটা লেখনী ও আলাপ-আলোচনাতে সামান্যই পাওয়া যাবে।

অ্যাসাঞ্জ আবার শুধু একজন সাংবাদিকও নন; বিশ্বজুড়ে গোপন তথ্য ফাঁসকারী সাংবাদিক কম নেই। তাঁদের বদলে অ্যাসাঞ্জকে থামাতে শক্তিশালী দেশগুলো কেন এত আগ্রহী, তার গোপন রহস্যও হলো অ্যাসাঞ্জের রাজনীতি এবং তাঁর সহকর্মীদলের আদর্শ, যাদের এখন বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ‘অহিংস ডিজিটাল সেনাবাহিনী’।

অ্যাসাঞ্জকে ফৌজদারি অপরাধে বেঁধে ‘ন্যাটো’ এটা দেখাতে চায় যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং জনস্বার্থে গোপন তথ্য ফাঁস একটা অপরাধ। অ্যাসাঞ্জের ক্ষেত্রে তারা সফল হলে বিশ্বজুড়েই সাংবাদিকতায় যুক্তদের স্বাধীনতা ও পরিসর আরও একধাপ সংকুচিত হয়ে পড়বে।

চলতি অধ্যায়ের বড় বিপদ এখানেই।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর থেকে দুনিয়াজুড়ে এর প্রতিবাদ চলছে, বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন আকারে। আমরা বাংলাদেশ থেকে 'উইকিলিকসের বন্ধু' ব্যানারে দাঁড়াবো অ্যাসাঞ্জের পাশে, প্রতিবাদ জানাবো তাঁর গ্রেফতারের।
আসুন, দাঁড়াই ...

স্থানঃ ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে, ফুলার রোড, ঢাকা
সময় ৪.৩০
তারিখ ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, মঙ্গলবার ।
https://web.facebook.com/events/387029048808315/